Wednesday, August 12, 2015

৮৫ বছর পর বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর আবিষ্কার

বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে বিজ্ঞানে নতুন ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি পদার্থবিজ্ঞানী জাহিদ হাসান। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নেতৃত্বে একদল গবেষক ৮৫ বছর পর আবিষ্কার করেছেন ভরহীন কণা- ভাইল ফার্মিয়ন। ১৯২৯ সালে হারম্যান ভাইল নামক এক বিজ্ঞানী এমন একটি কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। এরপর পরীক্ষাগারে চলে ব্যাপক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা। অবশেষে ৮৫ বছরের মাথায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একদল পদার্থ বিজ্ঞানীর নিরন্তর প্রচেষ্টায় সেই কণা বাস্তবে পরীক্ষাগারে শনাক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সাইন্স’- এর সাম্প্রতিক সংখ্যায়। ভাইন ফার্মিয়ন নামক এই কণা আবিষ্কারের ফলে কেবল তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান পাল্টে যাবে না, ইলেকট্রনিক ও কম্পিউটারের দুনিয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। তাই বাংলাদেশী এই পদার্থ বিজ্ঞানীকে নিয়ে এখন হৈচৈ পড়ে গেছে পুরো বিশ্বে। জাহিদ হাসান বলেন, ভাইল ফার্মিয়নের অস্তিত্ব প্রমাণিত হওয়ায় দ্রুতগতির ও অধিকতর দক্ষ ইলেকট্রনিক্স যুগের সূচনা হবে। এই আবিষ্কার কাজে লাগিয়ে আরো কার্যকর নতুন প্রযুক্তির মোবাইল ফোন বাজারে এসে যাবে, যা ব্যবহারে তাপ সৃষ্টি হবে না। কারণ ভাইল ফার্মিয়ন কণার ভর নেই। এটি ইলেকট্রনের মতো পথ চলতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে না। তৈরি হবে নতুন প্রযুক্তির কম্পিউটার ও বৈদ্যুতিন নানা সামগ্রী। জাহিদ হাসান ছোটবেলায় ঢাকার ধানমন্ডি গভ. বয়েজ স্কুলে পড়াশোনা করেছন। ঢাকা কলেজের প্রাক্তন এই ছাত্রের পিএইচডি স্টানফোর্ডে। এরপর শিক্ষকতা ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায়। এখন প্রিন্সটনে গবেষণার পাশাপাশি শিক্ষকতা করছেন এই বাংলাদেশি পদার্থবিদ। এই পৃথিবী, যাবতীয় গ্রহ নক্ষত্র, নদীনালা, সমুদ্র, পর্বত, প্রাণিজগৎ, গাছপালা, মানুষ, সব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার পিণ্ড। মহাজগতের এসব বস্তুকণাকে বিজ্ঞানীরা দুটি ভাগে ভাগ করেন। একটি ‘ফার্মিয়ন’, অন্যটি ‘বোসন’, যা আবিষ্কার করেছিলেন আরেক বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, তার নামেই ‘বোসন’ কণা। ‘ফার্মিয়ন’ কণার একটি উপদল হল ‘ভাইল ফার্মিয়ন’। ১৯২৯ সালে বিজ্ঞানী হারম্যান ভাইল এই ‘ভাইল ফার্মিয়ন’ কণার অস্তিত্বের কথা জানিয়েছিলেন, তার নামেই এই অধরা কণার নামকরণ হয়েছিল। ১৯২৯ সাল থেকেই পদার্থবিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন ‘ভাইল ফার্মিয়ন’-এর অস্তিত্ব প্রমাণের। ৮৫ বছর ধরে সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর কল্যানে সন্ধান মিলল সেই অধরা কণা ‘ভাইল ফার্মিয়ন’-এর। অনেকেই মনে করছেন, অনন্য এ আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরষ্কারের জন্যও মনোনীত হতে পারেন এ বিজ্ঞানী। গত কয়েক বছরে যারা পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন, তাদের অবদানের সঙ্গে জাহিদ হাসানের অবদানের তুলনা করলে এ সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Get educative information on : Education Link BD

No comments:

Post a Comment