জাপানপ্রবাসী দু’জন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী হেপাটাইটিস-বি চিকিৎসায় নতুন ওষুধ উদ্ভাবন করেছেন। বাংলাদেশে ওষুধটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হলেও অাইনি জটিলতায় এটি এখনও আনুষ্ঠিানিকভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে কার্যকারিতা প্রমাণের পর কিউবায় ওষুধটির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ‘নাসভ্যাক’ নামের এই ওষুধটি উদ্ভাবন করেছেন জাপানের তোশিবা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল সায়েন্সেস বিভাগের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর। শুক্রবার দৈনিক প্রথম অালোতে ‘হেপাটাইটিস–বি চিকিৎসায় নতুন ওষুধ’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশে ওষুধটির পরীক্ষামূলক ব্যবহারের দায়িত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব।
তিনি বলেন, পরীক্ষায় দেখা গেছে ‘নাসভ্যাক’ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখে। মামুন আল মাহতাব বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের সফলতার পর ২০১২ সালে একই হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। এই পর্যায়ে দীর্ঘদিন হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত ১৫১ জন রোগীকে নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। এই রোগের চিকিৎসায় বাজারে প্রচলিত অন্য ওষুধের সঙ্গে এর কার্যকারিতা তুলনা করা হয়। তাতে দেখা যায়, নতুন ওষুধ বেশি কার্যকর। এই ওষুধ বেশি দিন ধরে কাজে দেয়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর ও মামুন আল মাহতাব জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে
নতুন এই ওষুধ নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও ওষুধ কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, চীন, তাইওয়ান, হংকং, ফিলিপাইন, ভারত ও থাইল্যান্ডে মাল্টি-সেন্টার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে বা হচ্ছে। একটি ফরাসি ওষুধ কোম্পানি ইউরোপের বাজারের জন্য এই ওষুধের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ওষুধটি
বাংলাদেশে ব্যবহার প্রসঙ্গে ফজলে আকবর বলেন, ‘নতুন ওষুধ নিয়ে দুবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সঙ্গে সভা করেছেন। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যমান আইনে এই ওষুধ বাংলাদেশে ব্যবহারের সুযোগ নেই।’ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দীন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএফডিএ বা যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ বা যুক্তরাজ্যের বিএনএফের নিবন্ধন পাওয়া ওষুধই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া—এই সাতটি দেশের যেকোনো একটিতে ব্যবহারের অনুমতি পায়, সেসব ওষুধকেও বাংলাদেশে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। নতুন ওষুধটির এই ধরনের অনুমোদন নেই।.................................Source:Priyo.com
No comments:
Post a Comment