বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস’র (বিসিএস) মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামের এম ওয়ালিদ বিন কাশেম। সম্প্রতি প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএস’র শ্রেষ্ট স্থান দখল করা কাশেম প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাসই করতে পারেননি। মতিঝিল সরকারি বয়েজ হাইস্কুল থেকে ২০০৩ এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন ওয়ালিদ। ২০০৫ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এ প্লাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তার। এইচএসসিতে জিপিএ-৪.৭০ পান ওয়ালিদ বিন কাশেম। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে থকলেও সুযোগ হয়নি। পরে তাই ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আহসানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে অনার্স শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিনুয়েবল এনার্জি বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন। সেখান থেকেই বৃত্তি পেয়ে উড়াল দেন জাপানে। ৩৪তম বিসিএসের মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষা তিনি জাপান থেকেই এসে দিয়ে গেছেন। বাবা মো. আবুল কাশেম। তিনি ছিলেন প্রশাসনে বিসিএস ক্যাডার। বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন। ওয়ালিদের বড় আপা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালের সহকারী অধ্যাপক, ছোট আপা ব্যাংকার। মা জোসনেয়ারা কাশেম গৃহিণী। সার্ক এর নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন ওয়ালিদ। তিনি বিয়ে করেছেন ২০১২ সালে। ২ মাস কম দুই বছর বয়সী সাবিরা বিনদে ওয়ালিদ নামে ফুটফুটে মেয়েও আছে তার। ওয়ালিদ বিন কাশেম বলেন, আমি মোটেও মেধাবী নই, একটিভ। আমি সব সময় সব বিষয়ে একটিভ ছিলাম। ধৈর্য্য এবং প্রাকটিসই আমার সাফল্যের চাবিকাঠি। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু প্রথম হয়ে যাবো, এমনটা ভাবিনি, এটা অবিশ্বাস্য। বলতে পারেন আমি ভাগ্যবান।

No comments:
Post a Comment